ছয়গাঁও যুব সংঘ
সুদৃঢ় বন্ধনে সুন্দর আগামী
ছয়গাঁও যুব সংঘ
সুদৃঢ় বন্ধনে সুন্দর আগামী
১. ইহা একটি অরাজনৈতিক, অলাভজনক ও স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান হিসাবে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলের সেবা করা।
২. সংঘের সকল সদস্যের আইন ও শৃঙ্খলার মাধ্যমে এলাকার সার্বিক উন্নয়ন কল্পে সহযোগিতা করা।
৩. এলাকাবাসীগণের মধ্যে একাত্বতাবোধ, সৌহার্দ, ভ্রাতৃত্ববোধ ইত্যাদি উৎকর্ষ সাধন এবং প্রয়োজনে একে অপরকে সাহায্য করা।
৪. সমাজের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচী গ্রহণ করা এবং সমাজের বিশেষ করে দুঃস্থ অসহায়দের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করা।
৫. সংঘের মধ্যে সকল প্রকার দূর্ণীতি রোধ করা ও সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মসূচীর সঙ্গে সহযোগিতা করা।
৬. যে কোন জায়গায় দূর্ভিক্ষ, বন্যা, মহামারী, ভূমিকম্প, আকস্মিক দূর্ঘটনা ঘটিলে সেখানে সাধ্যমত আর্থিক সহায়তা দান ও পুনবার্সনের সাহায্য করা। খেলাধুলা, শরীর চর্চা, চিত্তবিনোদন ও গ্রন্থাগারের ব্যবস্থা করা। এই সংঘ দরিদ্র জনগণের মধ্যে আধুনিক প্রযুক্তিগত শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে কম্পিউটার ট্রেনিং স্কুল চালু করবে। তথ্য প্রযুক্তির সুবিধার জন্য আইটি সেন্টার চালু করবে (নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে)।
৭. সংঘের উন্নয়ন কল্পে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও কনফারেন্স এর আয়োজন এবং সংঘ কর্তৃক কর্মসূচীর সাথে সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম গ্রহণ করে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অসামাজিক কার্যকলাপ, মাদকদ্রব্য ও ধুমপান বিরোধী সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা।
৮. গ্রামের ছিন্নমূল পরিবার যারা শহরের বস্তি অঞ্চলে বাস করেন তাদেরকে বিভিন্ন কল্যাণকর কর্মসংস্থানের মাধ্যমে গ্রামে ফিরিয়ে যাওয়া এবং পূর্ণবাসনে কর্মসূচী গ্রহণ করা।
৯. এইডস রোগ সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করা এবং জনসাধারণের মধ্যে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা।
১০. বাল্য বিবাহ, বহু বিবাহ, যৌতুক ও নারী-শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
১১. আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কর্মসূচীর আওতায় দুঃস্থ, ভূমিহীন, বিত্তহীন এবং নিম্ন আয়ের জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসূচী পরিচালনা করা।
১২. গরীব মেধাবী ছাত্র/ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান ও দুস্থ্য মেধাবী ছাত্র/ছাত্রীদের জন্য বিনা মূল্যে শিক্ষা উপকরণ প্রদান করা।
১৩. লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন খুঁজে বের করা এবং দেশের জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রচার ও ব্যবহার নিশ্চিত করা।
১৪. বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে সবুজ বনায়ণ সৃষ্টি করা।
১৫. স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহারের জন্য জনগণকে সচেতন করা। সম্ভব হলে সংঘ কর্তৃক গরীব দুঃস্থদের মধ্যে স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা বিতরণ করা।
১৬. পরিবার-পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহনের উপকার সম্পর্কে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও উদ্ভুদ্ধ করণের প্রচেষ্টা করা।
১৭. নিরক্ষরতা দূরীকরণের জন্য সংঘ কর্তৃক নৈশ বিদ্যালয় স্থাপন করে বয়স্ক লোকদের অক্ষর দানের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।
১৮. জাতীয় দিবস উদযাপন ও পূর্ণমিলনী, অনুষ্ঠানাদির আয়োজন ঈদ-ঈ-মিলাদুন্নবী ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানাদির আয়োজন করা।